ভারযুক্ত গড় বা গুরুত্ব প্রদত্ত গড় (Weighted Average)
প্রতিটি উৎস থেকে মূলধন সংগ্রহের জন্য সুনির্দিষ্ট ব্যয় বহন করতে হয়।
প্রত্যেকটি উৎসের মূলধন ব্যয় আলাদাভাবে নির্ণয় করা হলেও এতে ফার্মের সার্বিক মূলধন ব্যয় সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় না।
সুতরাং প্রয়োজন সার্বিক মূলধন ব্যয় নিরূপণ।
এটি নির্ণয় করতে হলে দু’ধরনের তথ্য দরকার। যথা:
(ক) কর পরবর্তী মূলধনের সুনির্দিষ্ট ব্যয় নিরূপণ;
(খ) মূলধন কাঠামোর অর্থায়নের অনুপাত নির্ণয়।
আর এ দুটি উৎসের তথ্যকে গুণ করে যোগ করলেই পাওয়া যাবে গুরুত্ব প্রদত্ত গড় মূলধন ব্যয়।
সুতরাং মূলধন কাঠামোর প্রতিটি উৎসের কর পরবর্তী ব্যয়কে এর অনুপাত দ্বারা গুণ করে গুণফলকৈ যোগ করে যে মূলধন ব্যয় নির্ণয় করা হয় তাকে গুরুত্ব প্রদত্ত গড় মূলধন ব্যয় বলে।
Weston & Brigham এর মতে, “The traget proportions of debt. preferred stock and common equity, along with the component cost of capital, are used to calculate the firms weighted avgerage costs of capital.” অর্থাৎ নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রার ঋণ অগ্রাধিকার শেয়ার এবং সাধারণ শেয়ারের পৃথক ব্যয় নির্ণয়ের মাধ্যমে গুরুত্ব প্রদত্ত গড় মূলধন ব্যয় নির্ণয় করা হয়।
Khan & Jain-এর ভাষায়, “The cost of each source or component is called specific cost of capital. When these specific costs are combined to arrive at overal cost of capital, it is reffered to as the weighted average cost of capital. অর্থাৎ মূলধনের প্রতিটি উৎসের ব্যয়কে সুনির্দিষ্ট ব্যয় বলে।
যখন এই সুনির্দিষ্ট মূলধন বায়কে সম্মিলিতভাবে মূলধন ব্যয়ে রূপান্তর করা হয় তখন তাকে গুরুত্ব প্রদত্ত গড় মূলধন ব্যয় বলে।
ভারযুক্ত গড় বা গুরুত্ব প্রদত্ত গড় (Weighted Average)
Martin & Others-এর মতে, “A firms weighted cost of capital is a composite fo individual costs of financing, weighted by the percentage of financing provided by each source.” অর্থাৎ প্রতিটি অর্থায়নের উৎসের ব্যয়কে, অর্থায়নের শতকরা হার দ্বারা গুণ করে সংযুক্তভাবে যে ব্যয় নির্ণয় করা হয় তাকে গুরুত্ব প্রদত্ত মূলধন ব্যয় বলে।
উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়,
কোন ফার্মের অর্থায়নের উৎসগুলোর কর পরবর্তী ব্যয়কে মূলধন কাঠামোর অনুপাত দ্বারা গুণ করে প্রাপ্ত ফলাফলকে যোগ করে যে ব্যয় নির্ণয় করা হয় তাকে গুরুত্ব প্রদত্ত গড় মূলধন ব্যয় বলে ।