মূলধন ও মুনাফা জাতীয় আয় অথবা, মূলধন ও মুনাফা জাতীয় আয়ের সংজ্ঞা

মূলধন ও মুনাফা জাতীয় আয় অথবা, মূলধন ও মুনাফা জাতীয় আয়ের সংজ্ঞা

হিসাবনিকাশ কর্মধারায় আয়ের প্রকৃতি নির্ণয় করা অত্যাবশ্যক। কারণ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে দৈনিক নানান প্রকার আয় অর্জিত হয়। প্রতিদিনের আয়সমূহকে লেনদেনের প্রকৃতি অনুসারে শ্রেণীবিভাগ করা হয়।
ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের এসব আয়কে দুভাগে বিভক্ত করা যায়; যথা: মূলধন জাতীয় আয় ও মুনাফা জাতীয় আয় ।

মূলধন জাতীয় আয়: সাধারণ অর্থে, দৈনন্দিন কারবারী আয় বা মুনাফা ব্যতীত অন্যান্য আয়কে মূলধন জাতীয় আয় বলে।
ব্যাপক অর্থে, যে সব আয় বারবার অর্জিত হয় না এবং একবার অর্জন করে দীর্ঘদিন একে ব্যবসায়ে স্থায়িভাবে ব্যবহার করা যায় তাকে মূলধন জাতীয় আয় বলা হয়।
মূলধন জাতীয় আয় স্থায়ী প্রকৃতির এবং দীর্ঘকালীন হয়ে থাকে। এ জাতীয় আয়ের কারণে ব্যবসায়ের স্থায়ী সম্পত্তির পরিমাণ হ্রাস পায়।

“আর পড়ুনঃ” স্থগিত বা বিলম্বিত মুনাফা জাতীয় ব্যয়

S.N. Basu-এর মতে, “যে আয় নিয়মিত নয় এবং যে আয় পুনঃসংঘটনশীল নয়, সাধারণত সে আয়কেই মূলধন জাতীয় আয় বলে। ”

“আর পড়ুনঃ” হিসাবরক্ষণের দু’তরফা ও একতরফা পদ্ধতি

উদাহরণ: শেয়ার অধিহার স্থায়ী সম্পত্তি বিক্রয়জনিত আয়, শেয়ার ও ঋণপত্র বিক্রয় হতে প্রাপ্ত অধিকার, শেয়ার বাজেয়াপ্ত হতে প্রাপ্ত আয় ইত্যাদি।

মুনাফা জাতীয় আয়: সাধারণ অর্থে, প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত বা দৈনন্দিন আয়কে মুনাফা জাতীয় আয় বলে।
অন্যভাবে বলা যায়, মূলধন জাতীয় আয় ব্যতীত অন্য সকল প্রকার আয়কে মুনাফা জাতীয় আয় বলে।

“আর পড়ুনঃ” সি. আই. এম. এ (C. I.M.A)

S.N. Basu বলেন, “যে আয় নিয়মিত এবং পৌনঃপুনিক চরিত্রের, যা প্রাপ্তির বিনিময় কোনো রকম দায়বদ্ধ হতে হয় না, তাকে মুনাফা জাতীয় আয় বলে।”

মূলধন ও মুনাফা জাতীয়

Morton Backer-এর মতে, “পণ্য ও সেবার বিনিময় প্রাপ্ত মূল্য সমষ্টি যা প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তির বৃদ্ধি সূচনা করে তাকে মুনাফা জাতীয় আয় বলে।”

S. Mr. Paul-এর মতে, “Revenue incomes is all the recurring income which a business earns during normal course of its activites.”

উদাহরণ: সুদ প্রাপ্তি, পণ্য বিক্রয়, বিনিয়োগের সুদ, প্রাপ্ত কমিশন, প্রাপ্ত বাড়িভাড়া, প্রাপ্ত বাট্টা ইত্যাদি।

সব ধরনের মূলধন জাতীয় প্রাপ্তিকে মূলধন জাতীয় আয় এবং মুনাফা জাতীয় প্রাপ্তিকে মুনাফা জাতীয় আয় হিসেবে বইতে ক্রেডিট এবং উদ্বৃত্তপত্রের দায়ের দিকে দেখানো হয়। অপরদিকে মুনাফা জাতীয় আয়কে ক্রয়-বিক্রয় ও লাভ-লোকসান হিসাবে ক্রেডিট এবং আয় বকেয়া থাকলে উদ্বৃত্তপত্রের সম্পদ পাশে দেখানো হয়।

About Post Author

Related posts