মঙ্গল করিবার শক্তিই ধন, বিলাস ধন নহে?
উত্তরঃ মানুষের উপার্জিত ধনসম্পদের ব্যয়িত কল্যাণকর দিকটিইব তার প্রকৃত পরিচয় বহন করে। ধনসম্পদকে বিলাসিতায় অপব্যয় না করে যদি মানবের কল্যাণে বা মঙ্গলার্থে ব্যয় করা যায়। তবেই তার সার্থকতা প্রমাণিত হয়। মানবজীবনে ধনসম্পদের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। মানুষ কষ্ট করে ধনসম্পদ উপার্জন করে। এ কষ্টকর ধনসম্পদ সার্থকভাবে কাজে লাগাতে পারলেই তা অর্থবহ হয়। পৃথিবীতে কিছু মানুষ আছেন যারা নিজের বিলাসিতায় ধন ব্যবহার না করে তা মানবকল্যাণে নিয়োজিত করেন। সেসব মহৎপ্রাণ মানুষের জন্যই আজ মানব সভ্যতা ও উন্নতির চরম শিখরে উপনীত। অপরদিকে, কেউ কেউ তার উপার্জিত ধনকে যক্ষের ধনের মতো আগলে রাখে। এতে আত্নসুখ লাভ করা যায়, কিন্তু মঙ্গলাথে অর্থ ব্যয় করে যে সুখ লাভ করা যায় তা পাওয়া যায় না।ধন সম্পদের প্রকৃত গুরুত্ব নির্ভর করে মানবকল্যাণে তা কাজে লাগানোর ওপর। ভোগবিলাসিতায় যথেচ্ছ অর্থ ওড়ানোর মধ্য অর্থসম্পদের প্রকৃত সার্থকতা নেই। উপযুক্ত ও যথার্থ ব্যবহার করে মানবতার উপকার সাধনের মধ্যেই রয়েছে এর সার্থকতা। ধনবান ব্যক্তি যদি তার কিছু পরিমাণ অর্থ নিপীড়িত দরিদ্র ও অভাবগ্রস্তদের জন্য খরচ করে বা দেশের উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করে তবে তা সার্থক হয়ে ওঠে। যুগ যুগ ধরে বহু মহৎ মানুষ তাদের ধনসম্পদ নিঃস্বার্থভাবে জনগণের কল্যাণের জন্য উৎসর্গ করে গেছেন। যে অর্থ মানুষের কল্যাণের জন্য ব্যয় করা হয় না, কেবল বিলাসিতায় ব্যয় হয় সে অর্থের বা ধনের সার্থকতা নেই। মানবকল্যাণের জন্য যে অর্থ বা সম্পদ ব্যয় করা হয়, সেটিই প্রকৃত ধন। আর বিলাসিতায় ধনের অপচয় ঘটে। তাই ভোগবিলাসে গা না ভাসিয়ে মানবতার কল্যাণে সম্পদের ব্যয় করা উত্তম।