দ্বৈত হিসাব পদ্ধতির সংজ্ঞা দাও।
রাষ্ট্রীয় আইন দ্বারা সৃষ্টি বা গঠিত জনকল্যাণ বা সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের চূড়ান্ত হিসাব প্রণয়ন ও প্রকাশের বিশেষ পদ্ধতি বা
কৌশলকে দ্বৈত হিসাব বা দ্বৈত হিসাব পদ্ধতি বলে।
অন্যভাবে বলতে গেলে যে পদ্ধতিতে চূড়ান্ত হিসাব প্রস্তুতকাপে উদ্বৃত্তপত্রকে দুটি অংশে মূলধন হিসাব ও সাধারণ উদ্বৃত্তপত্র বিভক্ত করে প্রকাশ করা হয় তাকে দ্বৈত হিসাব পদ্ধতি বলে।
“আর পড়ুনঃ” নিকাশ ঘর কাকে বলে
এ পদ্ধতিতে মূলধন হিসাবের ডেবিট দিকে মূলধন দাত্তার ব্যয় এবং ক্রেডিট দিকে মূলধন দাতার প্রাপ্তিসমূহ লিপিবদ্ধ করা হয়। সাধরণত, জনসেবামূলক প্রতিপালন, যেমন- বিদ্যুৎ, গ্যাস, এয়াসা টি এন্ড টি, রেলওয়ে ইত্যাদি তাদের মূলধন দাতার প্রাপ্তির কত অংশ মূলধন দাতায় সম্পত্তিতে বিনিয়োগ করা হয়েছে তা জানতে মূলধন হিসাব এবং তারল্য সম্পর্কে ধারণার জন্য সাধারণ উদ্বৃত্তপত্র তৈরি করে থাকে।
“আর পড়ুনঃ” নগদ এবং নগদ সমতুল্য কাকে বলে?
সুতরাং উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, দ্বৈত হিসাব পদ্ধতিতে প্রকৃত পক্ষে কোনো হিসাব পদ্ধতি নয়, চূড়ান্ত হিসাবের একটি ভিন্নুরূপ উপস্থাপন মাত্র।