আর্থিক বিবরণীর বিশ্লেষণের প্রক্রিয়াগুলো আলোচনা করুন। (Discuss the basic procedures of analysing financial statements.)
আর্থিক বিবরণী বিশ্লেষণের যে সব মৌলিক প্রক্রিয়া বা গাইড লাইন অবলম্বন করা হয় নিচে তা আলোচনা করা হলো
১. আর্থিক বিবরণীতে যে সকল আর্থিক তথ্য দেওয়া থাকে, সেগুলোকে পুনর্গঠন ও পুনর্বিন্যাস করতে হবে।
একই শিরোনামে একই তথ্যগুলোর শ্রেণীবদ্ধকরণ এবং প্রকৃতি অনুসারে উপাদানগুলোর বিভাজনের মধ্যেই এ কাজ নিহিত।
উপাত্তগুলোকে একটি নির্দিষ্ট ফর্মে সাজানো হয়।
“আর পড়ুনঃ” আর্থিক বিবরণী বিশ্লেষণের বিভিন্ন পদ্ধতি আলোচনা কর।
২. বিশ্লেষণের প্রকৃতি স্থির করতে হবে যাতে কাজের পরিধি নির্ধারণ করা যায়।
যদি প্রতিষ্ঠানের উপার্জন ক্ষমতা নির্ণয় করাই উদ্দেশ্য হয়, তাহলে আয় বিবরণীর বিশ্লেষণ গ্রহণ করা দরকার।
আর যদি আর্থিক অবস্থার চিত্র সম্পর্কে ধারণা পেতে হয় তাহলে উদ্বৃত্তপত্র বিশ্লেষণের প্রয়োজন।
“আর পড়ুনঃ” আর্থিক বিবরণী বিশ্লেষণের সীমাবদ্ধতা উল্লেখ করুন।
৩. হিসাব সংক্রান্ত নীতি ও প্রথাগুলো সম্পর্কে বিশ্লেষণকারীকে পরিচিত হতে হবে। ব্যবস্থাপনার নীতি ও পরিকল্পনাগুলোও তার জানা দরকার যাতে তিনি বুঝতে পারেন সে নীতি ও পরিকল্পনা কার্যক্ষেত্রে রূপায়িত হয়েছে কি-না।
৪. প্রকৃতি বিশ্লেষণের কাজ সম্পূর্ণ হবার পর প্রাপ্ত ফলাফলের প্রয়োজনীয় পর্যালোচনা করতে হবে এবং যথাযথ সিদ্ধান্ত বা উপসংহার টানতে হবে।
বিশ্লেষণের পর পর্যালোচনা কাজ অবশ্যই প্রয়োজন। কারণ পর্যালোচনা ছাড়া বিশ্লেষণের কোন মূল্য থাকে না।
“আর পড়ুনঃ” GAPP কী? রক্ষণশীলতা নীতির মূলভাব কি? উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করুন।
৫. বিশ্লেষণের বিভিন্ন কৌশল ও হাতিয়ারের মাধ্যমে (যেমন—অনুপাত ঝোঁক বিশ্লেষণ, সাধারণত আকার, তহবিল প্রবাহ ইত্যাদি) আর্থিক বিবরণীগুলোর মধ্যে একটি সম্পর্ক স্থাপন করা হয়।
৬. তথ্যগুলোকে সহজ ও বোধগম্য উপায়ে পর্যালোচনা করতে হয়।
সিদ্ধান্ত গ্রহণের সাহায্যে করার জন্য আর্থিক উপাত্তগুলোর তাৎপর্য ও উপযোগিতা ব্যাখ্যা করা হয়।
৭. সবশেষে, বিশ্লেষণ প্রাপ্ত ফলাফলের পর্যালোচনা এবং তার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর প্রতিবেদনের আকারে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে তা দাখিল করতে হবে।