যৌথ মূলধনী কোম্পানি বলতে কী বুঝেন? (What do you mean by Joint Stock Companies?)
দেশে প্রচলিত আইন মোতাবেক মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে কতিপয় ব্যক্তি সম্মিলিতভাবে স্বেচ্ছায় মূলধন সরবরাহ করে চিরন্তন অস্তিত্বসম্পন্ন যে ব্যবসায় গঠন করে তাকে যৌথমূলধনী ব্যবসায় বলা হয়।
সুনির্দিষ্ট আইনের আওতায় সৃষ্ট বলে এ ব্যবসায় কৃত্রিম ব্যক্তিসত্ত্বার অধিকারী ও চিরন্তন অস্তিত্বসম্পন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত।
বাংলাদেশে ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইন মোতাবেক যৌথ মূলধনী কোম্পানি গঠিত, পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়। নিচে যৌথ মূলধনী ব্যবসায়ের কয়েকটি সংজ্ঞার উল্লেখ করা হলো :
“আর পড়ুনঃ” নগদান বই কত প্রকার ও কী কী? (How many classes of cash book?)
১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইনের ২ (১-খ) ধারা অনুযায়ী “Company means a company formed and registered under this Act or existing company.
“অর্থাৎ কোম্পানি বলতে আর আইনের অধীনে গঠিত ও নিবন্ধিত কোন কোম্পানি অথবা বিদ্যমান কোন কোম্পানিকে বুঝায়।
“আর পড়ুনঃ” হিসাব চক্রের ধাপগুলো সংক্ষেপে আলোচনা করুন।
মাননীয় বিচারপতি লিন্ডলে বলেন, “যদি কয়েকজন ব্যক্তি একটি সংস্থায় মিলিত হয়ে অর্থ বা
অর্থের সমতুল্যের তহবিল প্রদান করে এবং এতদ্দ্বারা যৌথ মূলধনী তহবিল গঠন করে একটি সাধারণ উদ্দেশ্যে উক্ত তহবিল বিনিয়োগ করে,
তাহলে উক্ত সংস্থাকে যৌথমূলধনী কারবার বলা হবে।
এরূপে প্রাপ্ত যৌথ মূলধনকে কোম্পানির মূলধন বলা হয়।
যারা এ অর্থ প্রদান করেন বা যারা তার মালিক, তারাই তার সদস্য।
প্রত্যেক সদস্য যে অনুপাতে মূলধনের অধিকারী, এটাই তার অংশ।
“আর পড়ুনঃ” নগদ প্রবাহ বিবরণীর বৈশিষ্ট্য কী কী?
মোটকথা, যৌথমূলধনী কোম্পানি হলো মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে কয়েকজন ব্যক্তির যৌথ মূলধন নিয়ে গঠিত আইন সৃষ্ট,
কৃত্রিম ব্যক্তিসত্ত্বার অধিকারী, চিরন্তন অস্তিত্বসম্পন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান; যা নিজ নাম ও সীলমোহরের দ্বারা পরিচিতি ও পরিচালিত হয়।