“খতিয়ান, হিসাব বিজ্ঞানের সম্রাট হিসাবে বিবেচ্য কেন? (Why a ledger is called the “King of Accounting”?)
কারবার সংক্রান্ত লেনদেনগুলোকে প্রাথমিকভাবে তারিখ অনুযায়ী জাবেদায় লিপিবন্ধ করা হয়।
কিন্তু জাবেদার সাহায্যে কারবারের আর্থিক ফলাফল নিরূপণ করা সম্ভব নয়।
এজন্য জাবেদাভুক্ত লেনদেনকে খতিয়ানে স্থানান্তর করা হয়।
লেনদেনের প্রকৃতি অনুযায়ী বিভিন্ন শিরোনামে খতিয়ানে সংরক্ষণ করা হয়।
নির্দিষ্ট সময় শেষে উক্ত খতিয়ান উদ্বৃত্ত দ্বারা চূড়ান্ত হিসাব প্রস্তুতের মাধ্যমে কারবারের সামগ্রিক আর্থিক অবস্থা নিরূপণ করা যায়।
সুতরাং জাবেদাকে হিসাবের প্রাথমিক বই এবং খতিয়ানকে হিসাবের পাকা বই বলা হয়। খতিয়ানের বিভিন্নমুখী ব্যবহারিক গুরুত্বের জন্য খতিয়ানকে “সকল বহির রাজা” বলা হয়।
তাই উইলিয়াম পিকল্স বলেন, “খতিয়ান হলো সাহায্যকারী বহির যাবতীয় দাখিলার গন্তব্যস্থল।” নিম্নলিখিত কারণে খতিয়ানকে সকল বহির রাজা বলা হয় :
“আর পড়ুনঃ” রেওয়ামিল কাকে বলে? (What do you mean by Trial Balance?)
১. স্থায়ী ও পাকাপাকিভাবে হিসাব বহি সংরক্ষণ।
“আর পড়ুনঃ” নগদ প্রবাহ বিবরণী প্রস্তুতের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ পদ্ধতি আলোচনা করুন।
২. বিভিন্ন শিরোনামে সংক্ষিপ্তাকারে ও শ্রেণীবদ্ধভাবে হিসাব সংরক্ষণ।
৩. খতিয়ানের সাহায্যে হিসাবের গাণিতিক শুদ্ধতা যাচাই করা যায়।
৪. এর সাহায্যে হিসাবের ভুলত্রুটি ও জালজুয়াচুরি রোধ করা সম্ভব হয়।
৫. খতিয়ানের উদ্বৃত্ত দ্বারা ক্রয়-বিক্রয় হিসাব, লাভ-লোকসান হিসাব, উদ্বৃত্তপত্র প্রস্তুতের মাধ্যমে কারবারের চূড়ান্ত ফলাফল নিরূপণ করা যায়।
৬. খতিয়ান হচ্ছে কারবারের যাবতীয় লেনদেনের স্থায়ী ভাণ্ডার।
৭. এর সাহায্যে বিভিন্ন হিসাব সালের আর্থিক বিবরণী বিশ্লেষণ করা যায়।
উপরিউক্ত আলোচনা হতে বলা যায় যে, খতিয়ান হিসাবরক্ষণের সকল উদ্দেশ্য সাধন করে।
খতিয়ান কারবার প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থার দর্পণ বিশেষ। কাজেই খতিয়ানকে সকল বহির রাজা বলা হয়।